পুরুষদের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবে অনূর্ধ্ব-১৫ নারী দল
পুরুষদের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবে অনূর্ধ্ব-১৫ নারী দল
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে পারছে না বাংলাদেশ নারী দল। তাই নারীদের দুটি এবং অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেদের দল নিয়ে তিন দলের চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বিসিবি। এমনটা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন ফাহিম। তবে সিলেটে এক মাসের ক্যাম্পে প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলেও জানান তিনি। আসন্ন মেগা ইভেন্টের আগের তুলনায় ভালো কিছু হবে বলেও মত ফাহিমের।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত-শ্রীলঙ্কায় বসতে যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপের ১৩ তম আসর। প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অংশ নেয়া দলগুলো। বাংলাদেশও সিলেট কক্সবাজারে সম্পন্ন করেছে এক মাসের ক্যাম্প। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বাকি সাত দল যখন আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে, তখন পিছিয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। গেলো এপ্রিলে বাছাই পর্ব খেলার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে টাইগ্রেসরা।
ছেলেরা এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে নেদারল্যান্ডসকে পেলেও, তাও পাচ্ছে না নারীরা। মূলত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না পেয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। তবে বিকল্প পরিকল্পনা আছে বোর্ডের। তিন দল নিয়ে ১৮ থেকে ২৮ আগস্ট বিকেএসপিতে হবে চ্যালেঞ্জ কাপ।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘শেষে বাছাই পর্ব খেলে ওদের কোয়ালিফাই করতে হয়েছে, যে কারণে আমরা একটা মানসম্মত দলকে পাইনি (প্রতিপক্ষ হিসেবে)। টুর্নামেন্টের আগে যে কিছু ম্যাচ খেলার ব্যাপার থাকে সেটা আমরা পাইনি। শেষে দীর্ঘ একটা সময় ধরে আমরা সিলেটের মত একটা উইকেট কন্ডিশনে নারী দলকে রেখেছি। সেখানেই এতোদিন ওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচের যে ঘাটতিটা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করেছি একটা চ্যালেঞ্জ কাপ ট্রফি আয়োজন করে। যেখানে মেয়েদের মধ্যে দুটি দল ও ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’
তবে, তার আগে আরো একটি ক্যাম্প করবে নারীরা। সিলেটের ক্যাম্পের মাধ্যমে টাইগ্রেসদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে বলে মত বোর্ড পরিচালক ফাহিমের। তাই আগের আসরগুলোর তুলনায় এবার ভালো কিছুর প্রত্যাশা এই বোর্ড কর্তার। সম্পূর্ণ দেশীয় কোচিং স্টাফের অধীনে টাইগ্রেসদের উন্নতিটা লক্ষ্যণীয় বলেও মত তার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিংটা মনে হয় সবসময় এভারেজের ওপরে। সেটারও কিছু উন্নতি হয়েছে, ফিল্ডিংয়ের উন্নতি হয়েছে, তবে সবচেয়ে আশার কথা ব্যাটিংটার উন্নতি হয়েছে। ব্যাটিং নিয়েই আমরা সবসময় স্ট্র্যাগল করেছি এবং মানসিকতার মধ্যেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, যেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাচ্ছি। ওরা আগের তুলনায় ফিট, কারণ আমরা লম্বা প্রোগ্রাম করেছি, শুরুতে ওদের নিয়ে কক্সবাজার নিয়ে গিয়েছিলাম ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য। তারপর আবার বিকেএসপি, পরে সিলেট, সব মিলিয়ে প্রত্যেকটা এরিয়াতেই আমরা কিছুটা এগিয়েছি। আশা করছি এবার ভালো ফল হবে।’
২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ভারতে যাওয়ার কথা নারী দলের। কলম্বোতে ২ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে জ্যোতিরা।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।