দেহে টক্সিন টেস্ট করিয়েছেন সামান্থা
দেহে টক্সিন টেস্ট করিয়েছেন সামান্থা
দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু দেহে ‘টক্সিন টেস্ট’-এর মাত্রা কতটুকু তা পরীক্ষা করিয়েছেন। দেহে ক্ষতিকারক পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নানা রোগের আশঙ্কা বাড়ে, তাই ‘টক্সিন টেস্ট’ করিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সেই টেস্ট পরীক্ষা করে উপকারও পেয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
বর্তমানে গতিময় জীবনে মানুষ সদা ব্যস্ত। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। নিত্যদিনের খাবারের মধ্যেও ক্ষতিকারক পদার্থের প্রবেশ ঘটছে। ফলে দেহে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতিও সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজের অজান্তেই জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তাই সুস্থ থাকতে দেহে ‘বিষ’-এর মাত্রা কত, তা জানা প্রয়োজন।
‘টক্সিন টেস্ট’ কী—এটি আমাদের জানা উচিত। দেহের রক্তের মধ্যে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি জানিয়ে দেয় টক্সিন টেস্ট। এর মধ্যে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, যেমন— আয়রন, লেড, আর্সেনিকসহ ভিটামিনও থাকতে পারে। এ বিষয়ে চিকিৎসক আশিস মিত্র বলেন, সাধারণত রক্তের মাধ্যমে এ পরীক্ষাটি করা হয়। রক্তে যেমন অ্যালকোহলের মাত্রা পরীক্ষা হয়, তেমনই রক্তের টক্সিন পরীক্ষার মাধ্যমে দেহের মধ্যে নানা ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি জানা সম্ভব।
আশিস বলেন, অনেক সময়ে ভিটামিনের আধিক্যও দেহে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তার মধ্যে ভিটামিন ডি এবং আয়রন অন্যতম। যারা জিমে শরীরচর্চা করেন, তারা অনেক সময়েই না জেনে বিভিন্ন ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। এর ফলেও দেহের মধ্যে টক্সিসিটি তৈরি হতে পারে। তবে ভিটামিন থেকে টক্সিসিটি তৈরির ঘটনা খুব বিরল বলেই জানান তিনি।
যে কেউ চাইলে টক্সিন পরীক্ষা করাতে পারেন। আবার অনেক সময় কোনো বিশেষ লক্ষণ দেখে চিকিৎসকরাও এ ধরনের পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ চিকিৎসক বলেন, সাধারণত কোন খনিজ থেকে সমস্যা হচ্ছে, চিকিৎসক তা নির্দিষ্ট করে দিলে (যেমন আয়রন) পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কেউ চাইলে সব মিলিয়ে একটি পরীক্ষা করাতেই পারেন।
এর লক্ষণ কীভাবে বুঝবেন, তা শরীরের ওপর নির্ভর করে। কারও দেহে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি বাড়তে পারে। সে বিষয়টিকে ‘টক্সিসিটি’ বলা হয়। তখন চিকিৎসকরা তাকে টক্সিন টেস্ট করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আশিস বলেন, আমাদের রাজ্যে পানিতে আর্সেনিক অনেক বেশি থাকে। দেহে আর্সেনিক, সিসা বা ক্যাডমিয়ামের মাত্রা এ পরীক্ষা থেকে জানা সম্ভব।
আর আয়রন দেহের পক্ষে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। কিন্তু দেহে অতিরিক্ত মাত্রায় আয়রন থাকলে বিষক্রিয়া হতে পারে। দেহে আয়রনের মাত্রা বাড়লে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
তিনি বলেন, রোগীর হয়তো ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড নেই। তিনি ফাইবার সম্পন্ন ডায়েটে থাকেন। তারপরও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে তখন আমরা দেহে আয়রনের মাত্রা জানার চেষ্টা করি। দেহে আয়রনের মাত্রা বেশি হলে সময়ের সঙ্গে ব্যক্তির ত্বকের বর্ণ কালো হয়ে যাবে। আবার অনেক সময়ে নার্ভের কোনো সমস্যা আর্সেনিক থেকে হতে পারে। সেই সঙ্গে ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে। এতে আলসারও হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে টক্সিন টেস্ট করানো প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু লিখেছেন, আপনারা সবাই জানেন, আমি সুস্থ থাকতে পছন্দ করি। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, শরীরচর্চা করি। সম্প্রতি আমার দেহের টক্সিনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়েছি।
অভিনেত্রী বলেন, আমি কল্পনাও করিনি যে আমার দেহে ‘বিষ’ থাকতে পারে। কিন্তু আমার পরীক্ষার রিপোর্টে বেশ কিছু খনিজের অতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ থেকে আমি উপকারও পেয়েছি। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’খ্যাত সামান্থা পরামর্শ দিয়ে বলেন, সুস্থ থাকতে হলে ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা দেহে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি জানা থাকলে সুবিধা। আপনিও টক্সিন টেস্ট করে দেখুন। এ থেকে ভালো উপকার পাবেন।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘ডিটক্স’ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এ প্রক্রিয়ার জন্য তার তিন থেকে চার মাস সময় প্রয়োজন বলে জানান সামান্থা রুথ প্রভু।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।