ট্রাম্পের নির্দেশে মাদকবাহী নৌকায় হামলা, ট্রেন দে আরাগুয়ার ১১ সদস্য নিহত
ট্রাম্পের নির্দেশে মাদকবাহী নৌকায় হামলা, ট্রেন দে আরাগুয়ার ১১ সদস্য নিহত
দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলা থেকে আসা মাদকবাহী একটি নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ট্রেন দে আরাগুয়ার অন্তত ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
ওভাল অফিসে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘মাদকভর্তি একটি নৌকা আমরা গুলি করে ডুবিয়ে দিয়েছি। সে নৌকায় অনেক মাদক ছিল।’
পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী সাউথকমের আওতায় একটি ‘কাইনেটিক স্ট্রাইক’ চালিয়েছে। এতে ১১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি।”
মাদক চোরাকারবারিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প আরো লিখেন, ‘যারা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানোর চিন্তা করছেন—সতর্ক থাকুন।’
এর সঙ্গে ট্রাম্প একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায়, পানিতে ছুটে যাওয়া একটি মোটরবোটে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী ফ্রেদি নানেজ অবশ্য দাবি করেছেন, ট্রাম্প যে ভিডিও প্রকাশ করেছেন সেটি ‘কৃত্রিমভাবে তৈরি’ এবং প্রমাণ হিসেবে ট্রাম্পের কাছে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই।
বিপরীতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘আজ ভেনেজুয়েলা থেকে যাত্রা করা একটি মাদকবাহী নৌযানকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। নৌযানটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের ছিল।’
মার্কিন প্রশাসন চলতি বছরের শুরু থেকে লাতিন আমেরিকার কয়েকটি গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন দে আরাগুয়া ও কার্টেল অব দ্য সানস। এর মধ্যে কার্টেল অব দ্য সানস-এর নেতৃত্বে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও দেশটির সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা আছেন বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।