বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করলে ইউএনও অফিস ঘেরাও করার ঘোষণা

বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও: বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকেরা।


আজ শনিবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার মানোন্নয়নে আয়োজিত সভায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।


বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবর রহমান সবার পক্ষ থেকে ঘেরাও করার ঘোষণা দেন। আগামী সোমবার দুপুর ২টার পর সবাইকে প্রস্তুত থাকার কথাও বলেন তিনি। এ সময় সব শিক্ষক হাত তুলে কর্মসূচিতে সমর্থন জানান।

বিএনপির নেতা মাহবুবর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বোর্ড থেকে অনুমোদন নেই, পরিচালনা কমিটি নেই, জবাবদিহি নেই, এনটিআরসিএ কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো শিক্ষক নেই। অথচ কিন্ডারগার্টেনের আদলে গড়ে ওঠা বিদ্যালয়গুলো দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে। অন্য প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফলের দিন এক শিক্ষার্থীর ফল দুই প্রতিষ্ঠান দাবি করছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এসব বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।’

Join our Facebook Group

এ সময় শিক্ষকেরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।


সভায় অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করেছে, তাদের নিবন্ধিত ছাত্রছাত্রীদের নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে নিয়ে যেতেও পাঁচ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দেন বক্তারা।

লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, কোচিং সেন্টারের আদলে সাইবোর্ড টানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন নিতে হবে। এনটিআরসি নিবন্ধিত শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হবে। আয়–ব্যয় জবাবদিহির মধ্যে থাকতে হবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকেরা সভায় বক্তব্য দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৩৮টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে। এই ১০টির মধ্যে কারও নির্ধারিত শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নেই।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে না পারলে তো ঘেরাও করবেই। আমি ছুটিতে আছি। কাল অফিসে বসলে এ নিয়ে কথা বলব শিক্ষকদের সাথে।’


Instagram Notice

সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম পেজটি ভিজিট করুন।

Post Comment